মোঃ মামুন রেজা , ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
ধামরাইয়ের খাগাইল উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৭ জন শিক্ষার্থীর গণিত পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় বিদ্যালয়ে ভাংচুর, তালা ও বিক্ষোভ করে ছাত্র-ছাত্রী ও অভিবাবকগন।
জানা যায়, ২০১৭-২০১৮ সেশনে ২০১৯ এর এসএসসি গণিত পরীক্ষায় প্রধান শিক্ষক আব্দুর করিমের অবহেলায় তারা অকৃতকার্য হয়। শিক্ষার্থীরা হলেন, শামীমা আক্তার, আফরোজা আক্তার, কনিকা সরকার, বিথি আক্তার, মেঘলা আক্তার, মাহবুবুল আলম, পূর্নিমা আক্তার, সুমাইয়া, আইরিন সুলতনা কেয়া, প্রলয় বিশ্বাস, মো: বিল্লাল হোসেন, কুলসুম আক্তার, শাকিল মিয়া।
এ বিষয়ে শিক্ষার্থী শাকিল বলেন, প্রধান শিক্ষক পরিক্ষা চলাকালে আমাদের পরিক্ষা রুমে আসেন, রুমে এসে আমাদের বলেন ফেরেস্তা আসলেও নৈবিত্তিক উত্তর পত্রে একটি কলমের দাগ ও দিবেন না। তোমাদের জন্য সব ব্যবস্থা করেছি, তোমারা আমাকে ২০০ টাকা দাও পরিক্ষা প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিব। আমরা সব শিক্ষার্থী মিলে জন প্রতি ২০০ করে টাকা প্রধান শিক্ষকের কাছে জমা দেই। তার পরও আমারা পরিক্ষায় ফেল করেছি। এই কারনে আমারা বিদ্যালয়ে ভাংচুর, তালা ও বিক্ষোভ করি।
অপর শিক্ষার্থী বিল্লাল হোসেন বলেন, তোমরা আগেই প্রশ্নের উত্তর দিও না আমি সব ব্যবস্থা করেছি তোমরা ২০০ করে টাকা জমা দেও, কিন্তু তাতে আমাদের কোন লাভ হয় নাই।
এ বিষয়ে অভিবাবকরা বলেন, আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা যারা ফেল করেছে। তারা প্রত্যেকেই ভাল ছাত্র-ছাত্রী যার রোল নং ১ সেও ফেল করেছে গনিতে। কি কারনে ফেল করলো আমারা এর সঠিক তদন্ত ও বিচার চাই। আমরা মনে করি মূলত এই স্কুলে মুকুল সরকার নামে একজন ভাল গনিত শিক্ষক রয়েছে। তাকে ষড়যন্ত্র করে স্কুল থেকে সরানোর জন্য গনিতে ফেল করানো হয়েছে।আর এ বষিয়ে গণিত শিক্ষক মুকুল সরকার বলনে আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার ছেলে ১১ বছর ধরে এই স্কুলে গণিত বিষয়ে শিক্ষকতা করছি ফ্রি সহকারী পদে একজন শিক্ষক নিয়েছে এই স্কুলে আমাকে বাদ দিয়ে তাতে আমার কোন অভিযোগ নেই কিন্তু আমার স্কুলে যে ১৭ জন ছাএ ছাএী কেন ফেল পড়লো তার সঠিক তদন্ত চাই।
এই ষড়যন্ত্রের কারনে ১৭ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে অপূরনীয় ক্ষতি হয়ে গেল। এ বিষয়ে প্রধান আব্দুল করিম বলেন, টাকা উঠিয়েছি সত্য কিন্তু সেটা কেন্দ্র খরচের জন্য। টাকা নিয়ে পাস করানোর ব্যাপারে বলেন, ছাত্র-ছাত্রীরা প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি তাই ফেল করেছে। তাতে আমার কি করার আছে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply